Wednesday, 29 May 2019

আজও সেই তুমি

#একটি খোলা চিঠি

আজ 22march । ঠিক ১০ বছর আগে আজকের দিনে তুমি চলে গিয়েছিলে আমায় ছেড়ে । আর ঠিক ৩মাস পরেই ছিল আমাদের বিয়ে । যদিও তুমি চাওনি এই বিয়ে তোমার স্বল্প আযু জেনে ।কিছুটা আমার ইচ্ছে তেই তুমি রাজি হয়েছিলে এই বিয়েতে ।
যেদিন collage এ প্রথম দিন তোমায় দেখেছিলাম সেই দিন থেকে জানতাম তুমি এক কঠিন রোগের স্বীকার । তোমায় নিয়ে hospital যেতে যেতেই মনে হয়েছিল তুমি শুধু আমার । তারপর মন দেওয়া নেওয়া হল । বুঝতে পারলাম তুমি আমার জীবন । সবার আপত্তি তেও তোমায় বিয়ের সিদ্ধান্ত নিলাম। যদিও পরে সবাই আমার জোরের কাছে বিয়ে টা মেনে নিয়ে ছিল সেদিন । কিন্তু পাকা কথার সাত দিন পরই তোমায় পেলাম। খাটে । তবে সেটা ফুল সজ্জার খাট নয়, মৃত মানুষ বহনের খাট । তুমি আমার কাঁধে চড়ে শ্মশানে চিতার আগুনে ছাই হয়ে গেলে ।
আমার একাকী নিঃসঙ্গ জীবনে তোমার বন্ধু অঙ্কিতা তোমাকে হারানোর দুঃখ ভোলাতে সব সময় পাশে পাশে থাকত। জানিনা কবে যেন নিজের অজান্তেই আমি তার প্রতি দুর্বল হতে শুরু করেছিলাম । কিন্তু আস্তে আস্তে বুঝতে পারলাম সে আর আমার মন চায় না। চায় শুধু আমার অর্থ আর শরীর । দিন দিন তার চাহিদা বাড়তেই থাকল । রোজ নিত্য নতুন । এক দিন এক অগ্যত মুহূর্তে সে যেন আমায় আরও বেশি পাওয়ার চেষ্টা করল । মুহূর্তের আবেগে ভেসে গিয়ে আমার উর্ধ্ব ওষ্ঠ স্পর্শ করতে যাচ্ছিল তার নিম্ন ওষ্ঠ কে। আর ঠিক তখনই আমার সামনে ভেসে উঠল এক জোড়া রোগে ভোগা চোখ আর সদ্য স্নাত ফুলের পাপড়ির মত ভেজা ঠোঁট । আমি আর পারলাম না । ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলাম অঙ্কিতাকে। রাগে দুঃখে অপমানে ছুটে গেল আমার ব াইকের কাছে । ছিড়ে ফেলল বাইকের সিট কভার। সেই বাইক যে বাইকে তোমায় নিয়ে যেতাম তোমার মন ভাল করতে । কখনও গঙ্গার ঘাটে বা কোন ছোট দের খেলার মাঠে । তুমি চলে যাওয়ার পর অনেক বার ভেবেছিলাম বাইক টা বেচে দেব। পারিনি । বাইক টা চালালে মনে হত তুমি আমার সাথে আছ। কিন্তু আজ সেই বাইক টা এভাবে...  আর রাখিনি। তিন দিনের মধ্যে জলের দরে বেচে দিলাম । আর অঙ্কিতা?  সেই দিনই শেষ । আর কোন দিনও খোঁজ নেওয়ার ইচ্ছে হয়নি। ও কোন দিন খোঁজ নিয়েছে বলে জানিনা। এরপর দিন ছিল এক প্রকার। ভেবেছিলাম আর বিয়ে করবনা। কিন্তু মা এর চাপে বিয়ে করতে বাধ্য হলাম। ফুল সজ্জার রাতে শ্রীপর্ণা ঘরে এল। ভাবলাম ওকে সব বলেদি। কিন্তু তার আগেই ও আমার হাত দুটো টেনে নিল ওর হাতে । আমি চমকে উঠলাম । দুই হাত দিয়ে তুলে ধরলাম ওর মুখ । না কোন ভুল নেই এ আমার সদ্য বিবাহিত স্ত্রী শ্রীপর্ণা । কিন্তু ওর স্পর্শ ওর গন্ধ ঠিক যেন আমার হারিয়ে যাওয়া মাধুরী । তুমি সেই তুমি । আজ এক বছর হল আমাদের বিয়ে হয়েছে । আজ বিবাহ বার্ষিকী । কিন্তু আজও যখন ও আমার শয্যা সঙ্গিনী হয়ে আমার পাশে আসে, আমার দুই বাহুর নাগ পাশে ও ধরা দেয় আমি শুধু তোমাকেই পাই, আমার অধরা মাধুরীকে। আজও সেই তুমি শুধু আমার । আমার মাধুরী ।

No comments:

Post a Comment

যুযুৎসু

মহাভারতের অজানা চরিত্র যুযুৎসু মহাভারত বিষয়ে আমরা অনেক কিছু জানলেও অনেক চরিত্র এখনো অনেকের অজ্ঞাত। কথায় আছে যা নেই মহাভারতে তা নেই ভূ-ভার...